করোনাভাইরাস: আজও মৃত্যুর রেকর্ড
করোনাভাইরাসে গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। এটি দেশের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো নয় হাজার ৮২২ জনে। এদিকে গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ২০১ জন। এনিয়ে দেশে এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭ জন। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন চার হাজার ৫২৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৮১ হাজার ১১৩ জন হলো।
আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৬ হাজার নমুনা সংগ্রহ ও ৩৪ হাজার ৯৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৫৪ জন ও নারী ২৯ জন। তাদের মধ্যে ৭৪ জন হাসপাতালে ও ৫ জন বাসায় মারা যান। মৃত ৮৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৪ জন, চট্টগ্রাম ১৭ জন, রাজশাহী তিনজন, খুলনা চারজন, বরিশাল দুইজন, সিলেট দুইজন এবং রংপুর বিভাগে দুইজন। এছাড়া মৃতদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৬ জন এবং ষাটোর্ধ ৫২ জন রয়েছেন।
এদিকে বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৬৬ লাখ ২৭ হাজার ৪০৫ জন। আর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ লাখ ৪৯ হাজার ১৪২ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯১২ জন।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৮২৯ জন এখন পর্যন্ত মারা গেছেন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এই পর্যন্ত ৩ কোটি ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫১৯ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৩ জনের। তবে মৃত্যু বিবেচনায় মেক্সিকোর অবস্থান তৃতীয়।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে চতুর্থ অবস্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ৩৭৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ২০৯ জনের।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এসএস
মন্তব্য করুন